দাঁড়াও । শক্তি চট্টোপাধ্যায় । সারসংক্ষেপ । প্রশ্ন উত্তর । ব্যাকরণ ।

 দাঁড়াওশক্তি চট্টোপাধ্যায় আলোচনা । প্রশ্ন উত্তর । Darao by Shakti Chattopadhyay  class 8  সহায়িকা বিষয়সংক্ষেপ । বিষয়বস্তু  অষ্টম শ্রেণি  

Darao by Shakti Chattopadhyay

কবি পরিচিতি >>

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরবর্তী সময়ের বাংলা কবিতার ধারার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়। ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দের ২৫ নভেম্বর বর্তমান দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বহড়ুতে তাঁর জন্ম। তাঁর পিতার নাম বামানাথ চট্টোপাধ্যায়, মায়ের নাম কমলা দেবী। ছেলেবেলাতে বাবাকে হারিয়ে তিনি মামার বাড়িতে বড়ো হন। তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজ ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লেও পরীক্ষা দেওয়া হয়ে ওঠেনি। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি কবিতা লিখতে শুরু করেন। বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত কবিতা পত্রিকায় 'যম' নামে একটি কবিতা লিখে তিনি সকলের নজরে পড়েন। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ হে প্রেম, হে নৈঃশব্দ্য। এ ছাড়া তাঁর অন্য উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলি হল ধর্মে আছি জিরাফেও আছি, হেমন্তের অরণ্যে আমি পোস্টম্যান, সোনার মাছি খুন করেছি, যেতে পারি কিন্তু কেন যাব প্রভৃতি। তাঁর লেখা দুটি বিখ্যাত উপন্যাস হল কুয়োতলা এবং অবনী বাড়ি আছো? তিনি আনন্দ পুরস্কার ও সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন। “দাঁড়াও' কবিতাটি তাঁর মানুষ বড়ো কাঁদছে কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া। ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দের ২৩ মার্চ এই কবি পরলোক গমন করেন

নামকরণ >>
নামকরণের মধ্য দিয়েই সাহিত্যের বিষয়বস্তু সম্বন্ধে ধারণা লাভ করা যায়, তার গভীরে ঢোকা যায়। কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় তাঁর কবিতার নাম রেখেছেন 'দাঁড়াও'কবিতার কাহিনির দিকে লক্ষ করলে দেখা যায়, সমাজের অবক্ষয়ে জীবনযন্ত্রণায় ক্ষতবিক্ষত মানুষ আজ অসহায় হয়ে পড়েছে। কবিতায় মানুষের দুর্দশা, মনুষ্যত্বের লাঞ্ছনা ও অপমানের কথা বলা হয়েছে। তেমনি এইসব লাঞ্ছিত, অপমানিত, অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর কথাও বলা হয়েছে। মানবিকতা ও মনুষ্যত্ববোধকে কবি 'তুমি' বলেছেন। তাকে কবি আবেদন জানিয়ছেন দুঃখী মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। এই কবিতায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এবং সাহায্যের হাত বাড়ানোর বিষয়টিতে কবি জোর দিয়েছেন— এসে দাঁড়াও, ভেসে দাঁড়াও এবং ভালোবেসে দাঁড়াও'তাই শিরোনামটি যথাযথ ও তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে

সারসংক্ষেপ >>
জীবনযন্ত্রণায় ক্ষতবিক্ষত আর্ত অসহায় মানুষের কথা কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় তাঁর 'দাঁড়াও' কবিতায় তুলে ধরেছেন। জীবনে প্রতিমুহূর্তে মানুষের উপর হওয়া অপমান, অত্যাচার আর নিপীড়নের যে ছবি দেখা যায় তার প্রতি কবি ইজ্জিত করেছেন। এই অত্যাচারিত, নিপীড়িত মানুষদের বিপদের দিনে তাদের পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য মনুষ্যত্বসম্পন্ন মানুষদের কাছে কবি আবেদন জানিয়েছেন

ব্যাকরণ ও নির্মিতি >>
শন্দার্থ >>
মানুষ বড়ো কাঁদছে => মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে

• মানুষ হয়ে মানবিকতা ও মনুষারের অধিকারী হয়ে ফাঁদ পাতছে => বিপদে ফেলছে

• পাখির মতো => মুক্ত বা স্বাধীন হয়ে

• সেই সকাল থেকে => মানুষের দুর্দশা শুরুর সময় থেকে

• একলা => একাকী; নিঃস 


বিপরীত শব্দ >>
বড়ো => সামান্য

• কাঁদছে => হাসছে

• একলা => অনেকে

• সন্ধে => সকাল

• রাত-দিন ভালোবেসে => ঘৃণায়

বাক্যরচনা >>
• মানুষ => মনুষ্যত্বই হল মানুষের প্রধান সম্পদ।

• কাঁদছে => খেলনা না পেয়ে বাচ্চাটি কাঁদছে।

• পাখি => আজ সকালে দুটি নাম না জানা পাখি দেখলাম।

• সন্ধে => সন্ধে হলে পাখিরা বাসায় ফেরে।

• একলা => একলা থাকা কারুর পক্ষেই সম্ভব নয়


নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও ।।

প্রশ্ন শক্তি চট্টোপাধ্যায় কোথায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন ?

উত্তর> চব্বিশ পরগনা জেলার (বর্তমানে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার) বহুভু গ্রামে শক্তি চট্টোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন


প্রশ্ন তাঁর লেখা একটি উপন্যাসের নাম লেখো
উত্তর> তাঁর লেখা একটি উপন্যাস হল 'অবনী বাড়ি আছো' 

প্রশ্ন 'মতো' শব্দ ব্যবহার করা হয় কখনতোমার যুক্তির পক্ষে দুটি উদাহরণ দাও
উত্তর> 'মতো' একটি তুলনাবাচক শব্দ। একাধিক ব্যক্তি বা বস্তুর মধ্যে কখনও মিল বোঝাতে আবার কখনও অমিল বোঝাতে ‘মতো’ শব্দ ব্যাবহার করা হয়। যেমন- (ক) তাপসের মতো দায়িত্ববান কর্মী আর একজনও নেই এই কোম্পানিতে। এখনে অমিল বোঝাতে ‘মতো’ ব্যাবহার করা হয়েছে। (খ) অম্বরের মতো তাপসের লেখার হাতও বেশ ভালো। এখানে মিল বোঝাতে ‘মতো’ শব্দ ব্যাবহার করা হয়েছে।


প্রশ্ন কবি পাখির মতো পাশে দাঁড়াতে বলছেন কেন ?
উত্তর> পাখি হল মুক্তি ও স্বাধীনতার প্রতীক। কবি তাই 'তুমি'- কে সকল বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে আর্ত-নিপীড়িত মানুষের পাশে মুক্তির প্রতীক হিসেবে 'পাখির মতোএসে দাঁড়াতে বলেছেন।


প্রশ্ন “মানুষই ফাঁদ পাতছে”–কবি এ কথা কেন বলছেন? 'মানুষ' শব্দের সঙ্গে '' ধ্বনি যোগ করেছেন কেন—তোমার কী মনে হয় ?
উত্তর> আলোচ্য কবিতায় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় মানুষের দুর্দশার কারণ হিসেবে মানুষকেই দায়ী করেছেন। এই সমাজে একশ্রেণির স্বার্থপর, লোভী মানুষের লোভ ও লালসা এবং হিংসার শিকার সাধারণ মানুষ। প্রকৃতির রোষ মানুষ এড়াতে পারে, পারে না কেবল মানুষের তৈরি জাঁতাকল থেকে বেরিয়ে আসতে। "ফাঁদ পাতা' অর্থে কবি কয়েকজন মানুষের দ্বারা সমগ্র মানবজাতির শোষণ ও নিপীড়নের কথাই বলতে চেয়েছেন
>।।
মানুষের দুঃখকষ্টের জন্য একশ্রেণির মানুষের নির্লজ্জ লোভের কথা জোর দিয়ে বলতে কবি 'মানুষ' শব্দের সঙ্গে ই এবনি যোগ করেছেন

প্রশ্ন “তোমার মতো মনে পড়ছে”–এই পঙ্কির অন্তর্নিহিত অর্থ কী ?
উত্তর> কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় উধৃত পত্তিতে 'তুমি' বলতে কোনো ব্যক্তি-বিশেষের কথা বলেননি। মানুষের যে সদ্গুণ, ভালোবাসা, মনুষ্যত্ব, মানবিকতা—তাকেই বুঝিয়েছেন। সাধারণ মানুষের দুর্দশা, নিপীড়ন, তাদের প্রতি হিংস্র আচরণ দেখে ব্যথিত কবি মানুষের মধ্যে চিরন্তন মানবিক গুণগুলো যাতে জেগে ওঠে সেটাই কামনা করেছেন

প্রশ্ন “এসে দাঁড়াও ভেসে দাঁড়াও এবং ভালোবেসে দাঁড়াও” - এই পঙ্ক্তিটির বিশেষত্ব কোথায়? এই ধরনের দুটি বাক্য তুমি তৈরি করো।


উত্তর> প্রথমত, উদ্ধৃত পঙ্ক্তিতে 'যে' ধ্বনিটির বারবার ব্যবহারে অনুপ্রাস অলংকারের সৃষ্টি হয়েছে। দ্বিতীয়ত, বাকাচিতে তিনটি যৌগিক ক্লিয়ার ব্যবহার হয়েছে যেগুলির প্রথম তিনটি শব্দ অসমাপিকা ক্রিয়া এবং পরের একটি সমাপিকা ক্রিয়া 'দাঁড়াও'
>।।
এরকম দুটি বাক্য হল – (ক) মেখে নাও চেখে নাও এবং দেখে নাও (খ) ভুলিয়ে দাও ফিরিয়ে দাও এবং ভরিয়ে দাও ।

 

প্রশ্ন “মানুষ বড়ো কাঁদছে”—কী কারণে কবি এই কথা বলেছেন ?
উত্তর> ক্ষমতালোভী মানুষের হাতে সাধারণ মানুষের শোষণ ও নিপীড়ন সমাজসচেতন কবিকে ব্যথিত করেছে। স্বার্থান্বেষী মানুষের দল অত্যাচার আর উৎপীড়নের খেলায় যেতে উঠেছে। তাই তিনি সাধারণ নিপীড়িত মানুষের কান্নাকে তুলে ধরেছেন তাঁর 'দাঁড়াও' কবিতার উদ্ধৃত পত্তিটিতে। 


প্রশ্ন "মানুষ বড়ো একলা, তুমি তাহার পাশে এসে দাঁড়াও"- এই পঙ্কিটিকে তিন বার ব্যবহার করার কারণ কী হতে পারে বলে তোমার মনে হয় ?
উত্তর> উদ্ধৃত পত্তিটিতে দুটি অংশ রয়েছে। প্রথম অংশে মানুষের চরম দুর্দশার ছবি ফুটে উঠেছে। দ্বিতীয় অংশে মানুষের শুভবুদ্ধি ও মনুষ্যত্ত্বের জাগরণের জন্য প্রার্থনা করা হয়েছে। এই পক্তির মধ্যে থাকা 'দাঁড়াও' শব্দটি কবিতার প্রধান বক্তব্য বিষয়। চরম দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আকৃতি প্রকাশ পেয়েছে এই শব্দটির দ্বারা। তাই পঙ্ক্তিটি তিনবার ব্যবহার করে কবি বক্তব্য বিষয়ে জোর দিয়েছেন। শব্দটি বারবার ব্যবহারে মনের মধ্যে অনুরণন সৃষ্টির মাধ্যমে কবির বক্তব্যকে চিরন্তন রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছে

প্রশ্ন  কবিতার নাম 'দাঁড়াও' কতটা সার্থক ? কবিতাটির নাম 'মানুষ বড়ো কাঁদছে' হতে পারে কি-তোমার উত্তরের ক্ষেত্রে যুক্তি দাও
উত্তর> আলোচ্য কবিতার দুটি অংশ। একটি হল মানুষ দুর্দশাগ্রস্ত, অসহায়, কান্নায় তার হৃদয় ক্ষতবিক্ষত । দ্বিতীয় অংশটি হল এই গ্রন্ত, অসহায়, একাকী। ক্ষতবিক্ষত মানুষের পাশে মনুষ্যত্বের জাগরণ ঘটিয়ে মানুষকে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়েছে। সব কিছুর ঊর্ধ্বে মানবতার জয়গান গাইতে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়েছে। তাই দাঁড়াও নামটি যথাযথ ও ব্যাঞ্জনাময়
>।।  কিন্তু ‘মানুষ
বড়ো কাদছেএই শিরোনামে কবিতার একটি মাত্র বক্তব্য প্রতিফলিত হয়। শুধু হতাশা আর নিরাশার কথাই প্রকাশ পায়। কিন্তু কবি আশার বাণীকে প্রাধান্য দিয়েছেন। তাই 'মানুষ বড়ো কাদছে' নয়, 'দাঁড়াও' শিরোনামটিই উপযুক্ত ও যথাযথ

প্রশ্ন  কবি কাকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে অনুরোধ করেছেন বলে তোমার মনে হয় ?
উত্তর> কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় তাঁর দাঁড়াও কবিতায় অসহায় ক্রন্দনরত মানুষের পাশে 'তুমি'-কে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন। কিন্তু এই 'তুমি' কে তা কোথাও স্পষ্ট করে বলা নেই | তবে কবিতার মূল সুরটি থেকে বোঝা যায় যে এই 'তুমি' হল মানুষের মনুষ্যত্ববোধ, মানবিকতা ও শুভবুদ্ধি। অর্থাত্ মনুষ্যহীন মানুষকে নিজের মানবিকতা জাগিয়ে তুলে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে তিনি অনুরোধ করেছেন

প্রশ্ন কবিতাটি চলিত বাংলায় লেখা, শুধু একটা শব্দ সাধু- ভাষার। শব্দটি খুঁজে বার করো এবং শব্দটিকে এভাবে ব্যবহার করেছেন কেন কবি ?
উত্তর> শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের 'দাঁড়াও' কবিতাটি চলিত রীতিতে লেখা। কিন্তু এতে একটি মাত্র সাধুভাষার শব্দ রয়েছে। সেটি হল 'তাহার'শব্দটিকে এভাবে ব্যবহার করে কবি সম্ভবত অসহায় মানুষদের বিশেষভাবে চিহ্নিত করতে চেয়েছেন। তাদের প্রতি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য তিনি একটি ব্যতিক্রমী শব্দ ব্যবহার করেছেন, যাতে মানুষের শুভবুদ্ধি জেগে ওঠে, মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে পারে

প্রশ্ন  প্রথম ভরকে তিনটি পত্তির প্রত্যেকটির দল সংখ কত? প্রতিটি পঙ্কি ক-টি রুদ্ধ দল ও যুব দল নিয়ে তৈরি। 

উত্তর> প্রথম স্তবকের তিনটি পঙক্তির প্রত্যেকটির দল সংখ্যা ১৬

=> মা (মুক্ত) নুম্ (রুদ্ধ) ব (যুক্ত) ড়ো (মুক্ত) কাঁদ্ (রুদ্ধ) ছে (মুক্ত), তু (যুক্ত) মি (যুক্ত) মা (মুক্ত) নুম্ (রুদ্ধ) হ (মুক্ত) য়ে (মুক্ত) পা (যুক্ত) শে (মুক্ত) দাঁ (মুক্ত) ড়াও (রুদ্ধ) – অর্থাৎ ১২টি মুক্ত দল এবং ৪টি রুদ্ধ দল
=> মা (মুক্ত) নুম্ (রুদ্ধ), ই (মুক্ত) ফাঁদ (রুদ্ধ) পাত্‌ (রুদ্ধ) ছে (মুক্ত), তু (মুক্ত) মি (মুক্ত) পা (মুক্ত) থির্ (রুদ্ধ) ম (মুক্ত) তো (মুক্ত) পা (মুক্ত) শে (মুক্ত) দাঁ (মুক্ত) ড়াও (রুদ্ধ) – অর্থাৎ ১২টি মুক্ত দল এবং ৪টি রুদ্ধ দল
=> মা (মুক্ত) নুম্ (রুদ্ধ) ব (মুক্ত) ড়ো (মুক্ত) এক (রুদ্ধ) লা (মুক্ত), তু (মুক্ত) মি (মুক্ত) তা (মুক্ত) হার (রুদ্ধ) পা (মুক্ত) শে (মুক্ত) এ (মুক্ত) সে (মুক্ত) দাঁ (যুক্ত) ড়াও (রুদ্ধ) – অর্থাৎ ১২টি মুক্ত দল এবং ৪টি রুদ্ধ দল

প্রশ্ন কী ঘটেছে লেখো - সন্ধ্যা সন্ধে, ফাঁদ > ফাঁদ
উত্তর ॥>

সন্ধ্যা > সন্ধে  => স্বরসংগতি
ফাদ > ফাঁদ  => স্বতোনাসিক্যীভবন


  https://t.me/eparasona

https://www.facebook.com/eparasona/

Post a Comment

0 Comments